গতকাল সকালে ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্সের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিন সন্তান, স্ত্রী, শাশুড়িসহ সাতজন স্বজনকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে পড়েছেন বোয়ালমারীর আলমগীর হোসেন খান। পরিবারের সাত সদস্যকে হারিয়ে কিছুই বলতে পারছেন না তিনি।
গতকাল শনিবার ২৪ জুন ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্সের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮ জনের মধ্যে ৭ জনই তার স্বজন।
এদিকে আলমগীর হোসেনের গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৃতদেহ গ্রামে পৌঁছানোর সাথে সাথে অবতারণা ঘটে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। আত্মীয়-স্বজনদের কান্না-আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে বাতাস।
জানা গেছে, গতকাল রাত ১০টার দিকে নিহতদের আলাদা আলাদা তিনটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বোয়ালমারী উপজেলা চেয়ারম্যান এমএম মোশাররফ হোসেন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মাদ আব্দুল ওহাব, ইউপি চেয়ারম্যান কামাল আহমেদসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়। এ মর্মান্তিক ঘটনায় উপজেলাজুড়ে চলছে শোকের আবহ। পরিবার দুটিকে সমবেদনা ও সান্ত্বনা জানাতে ছুটে যান বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসন। সে সময় জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদারের পক্ষে নিহত প্রতিজনকে বিশ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দেন।